মোট পৃষ্ঠাদর্শন

সোমবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০১৩

কুর’আনে প্রযুক্তি [পর্ব-০৩ক] :: ‘বিগ ব্যাং’ কতটুকু সঙ্গতিপূর্ন?


আসসালামুআলাইকুম রাহমাতুল্লাহে ওবারাকাতুহু 8-) 

কুর’আনে প্রযুক্তি [পর্ব-০৩ক] :: ‘বিগ ব্যাং’ কতটুকু সঙ্গতিপূর্ন?

 আলহামদুলিল্লাহ tech tunes- এ কুর’আনে প্রযুক্তি পর্বটি আপনাদের মাঝে বিশাল সাড়া জাগাতে সমর্থ হয়েছে এজন্য সৃষ্টিকর্তার নিকট অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই। 3য় পর্বটি 2টি ভাগে বিভক্ত। ইনশাআল্লাহ আগামী পোষ্টে 2য় অংশ প্রকাশ করা হবে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ পোষ্টটি পড়ার জন্য।
বিজ্ঞানীগণ ধারনা করেন প্রায় ২০,০০০ বিলিয়ন আলোকবর্ষ ব্যাপী আমাদের এ মহাবিশ্বটি মহাশূন্যে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়েছে। তারাঁ শক্তিশালী টেলিস্কোপের মাধ্যমে মহাবিশ্বে প্রায় ১০,০০০ কোটি গ্যালাক্সির অবস্থান নিরুপন করতে সমর্থ হয়েছেন। প্রায় প্রতিটি গ্যালাক্সিতে আবার ৪০,০০০ কোটি নক্ষত্রের আনাগোনা রয়েছে। এতেই শুধু শেষ নয় প্রতি নক্ষত্রের সাথে আছে তার গ্রহ, উপগ্রহ, গ্রহাণু ও ধূমকেতুসহ অগুনিত জানা-অজানা মহাজাগতিক বস্তু ও আলোর-বিকিরনের সমাহার যাকে আমরা নামকরন করেছি- “নক্ষত্রের নিজস্ব সৌর পরিবার”।বর্তমানে সবচাইতে আলোচিত আবিষ্কার এই তত্বটি সর্বমহলে আলোচিত ও সমালোচিত। বিশেষ করে আমেরিকানদের প্রযুক্তি আড্ডার কলেবরে এখনো তুমুল ঝড় উঠে পক্ষে-বিপক্ষে।


আমাদের এই সমস্ত মহাবিশ্ব সৃষ্টির আদিতে একটা অতি ক্ষুদ্রাতি ক্ষুদ্র বিন্দু ছিল তারপর হয় ‘বিশাল বিস্ফোরন’ ইংরেজীতে যা ‘Big Bang’ তত্ব নামে অতি সুপরিচিত। এই প্রচন্ড বিস্ফোরনের পর চন্দ্র, সূর্য ,পৃথিবী এবং হাজার কোটি গ্যালাক্রী, নক্ষত্র, ছায়াপথ, নিহারিকা ও অন্যান্য অনাবিষ্কৃত বস্তু ও বলয়ের সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের ক্ষুদ্র গ্যালাক্রীর প্রায় ৪০ হাজার কোটি সে সে মধ্যে আমাদের এই সূর্যটি অতি ক্ষুদ্র সূর্য যার ১১-১৩টি গ্রহ ,উপগ্রহের পরিবার রয়েছে। তথ্যটি নিয়ে গবেষনা শুরু হয়েছে এই 20 শতকের প্রথম দিকে । কিন্তু কুরআনে এই ফর্মূলা প্রকাশিত হয়েছে প্রায় ১৪০০ বছর আগে, কুরআন-কারীম সমগ্র মানবজাতির জন্য সর্বশেষ আল্লাহ্ তা‘আলার বার্তা, আল্লাহ্তা‘আলা সন্দেহাতীতভাবে প্রয়োজনীয় প্রায় সর্ব বিষয়েরই র্নিভূল তথ্য এ কুরআনে উল্লেখ করেছেন। অনেকে ধারনা করেন “science”-এর প্রতিটি তথ্যের বিশ্লেষনধর্মী ব্যাখ্যা কুরআনে রয়েছে, আসলে Science or technological তত্বের বর্ননা নয় কুরআন মানবজাতির নিকট প্রতিটি প্রয়োজনীয় তত্বের ‘ signs’ বা সাংকেতিক’ অথবা “ টেলিগ্রাফিক বার্তা” বিভিন্ন আয়াতে প্রকাশিত রয়েছে (বেশিরভাগই অনাবিষ্কৃত)। চারদিকের দৃশ্যমান ও অদৃশ্যমান মহাবিশ্ব ও তার সৃষ্টিতত্বের সর্বপ্রথম আগাম সুষ্পষ্ট তথ্য ও মহাগ্রন্থ কুরআন কারীমে উল্লেখ রয়েছে-

সুরা আম্বিয়া ২১নং সুরা , ৩০নং আয়াতে-

اَوَ لَمْ يَرَ الَّذِيْن كَفَرُوْآ اَنَّ السَّموتِ وَالاَرْضِ كَانَتَا رَتْفًا فَفَقْنهُمَا ط

“যারা অবিস্বাস পোষন করে তারা কি দেখেনা যে মহাকাশমন্ডলী ও পৃথিবী উভয়ে একাকার ছিল তারপর আমরা স্ববেগে তাদেরকে বিচ্ছিন্ন করে দিলাম...”(অনুবাদ:-ডাঃ জহুরুল হক, আসাম, ভারত)।

অর্থাৎ হাজার কোটি গ্যালাক্রী, নক্ষত্র, ছায়াপথ, নিহারিকা ,গ্রহ,Black whole, White whole, Warm whole , উপগ্রহ, গ্রহাণু ও ধূমকেতুসহ অগুনতি জানা-অজানা মহাজাগতিক বস্তু ও আলোর-বিকিরন, আলো এমনকি সময় পর্যন্ত, অর্থাৎ এই সম্পূর্ন মহাবিশ্বের বস্তু, শক্তি ও সময় সমস্ত কিছুই বর্তমান অবয়ব ও নিজস্ব আকৃতি , গতি এবং কর্মপ্রকৃতি প্রকাশিত কারার পূর্বে একটি ‘বিশেষ পর্যায়ে’ সঙ্কুচিত অবস্থায় পরস্পর মিশ্রিত ছিলো যা এতই ক্ষুদ্র ছিল এককথায় Astor-physics বিজ্ঞানী কুকু বলেন “অচিন্তনীয় ক্ষুদ্র এক অস্তিত্ব”। এরপর আল্লাহ্ ঐ সঙ্কুচিত অতিক্ষুদ্র বিন্দুটিকে সর্বদিকে ছড়িয়ে দেন প্রচণ্ড এক বিস্ফোরণের মাধ্যমে । যার ফলে বস্তু, শক্তি ও সময় পৃথক হয়ে বর্তমান দৃশ্যযোগ্য রূপ ধারণ করতে থাকে { অর্থাৎ হাজার কোটি গ্যালাক্রী, নক্ষত্র, ছায়াপথ... } এবং সেই সাথে দ্রুত থেকে দ্রুততর সম্প্রসারিত হতে থাকে অর্থাৎ সর্বদিকে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। এইতো 2011 সালে দুজন মার্কিন মহাকাশ-পদার্থ বিজ্ঞানী প্রমান করেন এই মহাবিশ্বের সম্প্রসারন গতি দ্রুত হতে দ্রুততর হচ্ছে , এই যুগান্তকারী আবিষ্কারের জন্য তারাঁ যৌথভাবে নোবেল পুরষ্কার অর্জন করেন।

এই তাত্বিক বিষয়ে বিজ্ঞান বিশ্ব অবিরত গবেষণা ,পরীক্ষা-নিরীক্ষা, ও তথ্য-অনুসন্ধান চালিয়ে যেতে থাকে 20 শতক হতে অনেক বিজ্ঞানী মহাবিশ্বর ‘Big Bang’-এর বহু অগ্রহনযোগ্য চিত্র বিশ্লেষিত করেছেন কিন্তু বিজ্ঞান-সমাজ নড়ে-চড়ে বসতে বাধ্য হয় যখন ১৯৩৩ সালে বেলজিয়ামের পদার্থ বিজ্ঞানী জর্জ লি মেইতর সর্বপ্রথম বিশ্বের সামনে ‘ Big Bang’ এর গ্রহনযোগ্য ও সুচিন্তিত তথ্য উপস্থাপন করেন। তিনি প্রকাশ করেন মহাবিশ্বে যাবতীয় সময়,শক্তি ও বস্তুর যে আনাগোনা ও রুপ আমাদের আশেপাশে ও দুরদুরান্তে বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে নিজিদের অস্তিত্বের প্রমান ব্যক্ত করছে, তার সমস্ত কিছুই একটি মহাসূক্ষ্ম বিন্দুতে আজ থেকে প্রায় ১৫০০ কোটি বছর পূর্বে অতিসংকোচন অবস্থায় আটকে ছিল। ফলে এক পর্যায়ে অতীব প্রচণ্ড চাপ ও তাপ বর্ধিত হয়ে সঙ্কুচিত শক্তির বিন্দুটি এক পর্যায়ে বিশাল বিস্ফোরন ঘটে এবং মহাবিশ্বের সূচনা হয় এক কথায় বলা যায়- মহাবিস্ফোরন ।


মেইতরের এই তত্বের ঘোর বিরোধীতা করেন যাঁর মধ্যে প্রখ্যাত বিজ্ঞানী ফ্রেড হোয়েল, ২০০১ সালে যিনি মত্যুবরন করেন, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি Big Bang তত্বের ব্যাখ্যা গ্রহন করেননি। যাই হোক ১৯৪৬ সালে প্রখ্যাত আমেরিকান বিজ্ঞানী ‘মিঃ গামো’ (গামা রশ্মির আবিষ্কারক) Big Bang ব্যাখ্যার সাথে একাত্নতা প্রকাশ করেন এবং Mathematical Calculation-এর গ্রহনযোগ্য বিশ্লেষনের মাধ্যমে দেখান যে ঐ মহাবিস্ফোরণে বস্তুর তাপমাত্রা , রেডিয়েশন , আলো, ভাইব্রেশন বা ফ্রিকোয়েন্সী এখনও মহাবিশ্বে বিরাজমান করছে। তিনি উল্লেখ করেন -সঠিকভাবে গবেষনা চালাতে সক্ষম হলে তা আবিষ্কৃত হওয়া খুব দুরে নয়। চলবে...



একটি উদ্যেগ আহবান:
এটা অত্যন্ত দুঃখের বিষয় যে বাংলাদেশের ৯০% মুসলিম হয়েও এখনো বাংলা সহিহ হাদিসের Free digital Database বানানো হয়নি। প্রায় ২৮ কোটি বাংঙ্গালীগন অকাযর্করের অবহেলার ভূমিকা নিয়েছি, মহান দায়িত্ব থেকে আমরা মুসলিমগন একরকম নেহাতই পালিয়ে বেড়াচ্ছি। অনেকেই আছেন অন বাঅফ লাইনে কাজ করার সময় UNICODE টেক্সট হাদিস হাতের কাছে তৈরি না থাকায় সবাইকে কষ্ট করে টাইপ করতে হয় অথবা অনেকে ঝামেলা এড়িয়ে যান। কিন্তু এই দিন শেষ
আসুননা আমরা সমম্বিতভাবে উদ্বেগ নিয়ে বাংলা সহিহ হাদিসের Unicode Software সৃষ্টি করি। আপনারা শুনে  ‍খুশি হবেন আমাদের সহিহ বুখারী ও রিয়াদুস স্বালেহিনের কাজ প্রায় শেষ মুসলিম শরীফের কাজ চলছে। সফটওয়্যারটি chm ফরমেটে তৈরি হবে, ইনষ্টলের কোন ঝামেলা নেই। 1 click – উইন্ডো ওপেন হবে এবং সহজেই ডাটা কপি,পেষ্ট করা যাবে, এছাড়াও রয়েছে পাওয়ারফূল সার্চ কিওয়ার্ড অপশন। যেহেতু হাজার হাজার হাদিস এর জন্য অবশ্যই টিম ওর্কের প্রয়োজন যার নামকরন করা হয়েছে সংক্ষেপে DBHT-(ডিজিটাল বাংলা হাদিস টিম) দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সম্মানিত ভায়েরা বিনা পারিশ্রমিকে অক্লান্ত পরিশ্রম করে অতি দ্রুততার সাথে এগিয়ে যাচ্ছেন যার বেশিরভাই ছাত্র। উদ্দেশ্য একটাই-২৮ কোটি বাংলাভাষীর জন্য সম্পূর্ন বিনামূল্যে বাংলা হাদিসের অনবদ্য একটি ইউনিকোড সফটওয়্যার। মহ কাজে পিছিয়ে কেন ...আসুন আমাদের সাথে। সম্মানিত ভাই/ বোন যারা সদস্য হতে চান টিমের কর্মপদ্বতি হবে নিম্নরুপ-
1)যারা অংশ নেবেন Contribution- তাদের নাম প্রোফাইল লিংক থাকবে।
2) প্রত্যেককে সদস্য হতে হলে কমপক্ষে 100 হাদিসের ডাটা এন্ট্রি করে নিম্নলিখিত এড্রেসে পাঠিয়ে দিতে হবে।
3)আপনাকে পিডিএফ ফরম্যাটে হাদিস দেয়া হবে আপনি MS Word-(বিজয়, UNICODE, অভ্র যেটাতে খুশি ) টাইপ করে মেইলে এটাচ করে পাঠিয়ে দেবেন, আপনার প্রোফাইল লিংক যদি দেন ভাল হয়।
4) আপনার হাদিস পাবার পর সেটা আপডেট করে ফেসবুকে লিংক দেয়া হবে যেখান থেকে আপনি ডাউনলোড করে কাজের অগ্রগতি দেখতে পাবেন।
বিঃদ্রঃ:- এটি কোন কর্মাশিয়াল উদ্যেগ নয়। শধুমাত্র ভলান্টিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে DBHT-এর হাদিসের Digital interface তৈরি করার একটা যৌথ প্রচেষ্টা। বাংলাতে শুধু এন্ট্রি করবেন আরবী ইংলিশ আমরা ম্যানেজ করবো ইনশাআল্লাহ। মে এড্রেস Mob-নং বাংলাদেশের কোত্থেকে কাজ করছেন উল্লেখ করবেন। ১০ দিনের মধ্যে করতে পারলে ভালো হয়। আপনি ডাটা পাঠানোর পর আমরা সেটা অতি দ্রুত আপডেট করে য়াহু গ্রুপে আপনাকে এড করে আপডেট লিংক দেবো ইনশাআল্লাহ ধন্যবাদ। যোগাযোগ করুন।

শাহরিয়ার আজম
মেইল এড্রেস-  rub_sanjida@yahoo.com
Mob-01714351057
DBHT-(ডিজিটাল বাংলা হাদিস টিম)
**অালহামদুলিল্লাহ আমরা তিনটি ভাষায় হাদিস সফটওয়্যার প্রকাশ করছি (আরবী, বাংলা ইংলিশ) যা এখনো পৃথিবীতে সর্বপ্রথম। বিভিন্ন কলেজ ও ইউনিভার্সিটির জন্য অত্যান্ত কার্যকরী একটা সফটওয়্যার হবে। একসময় পৃথীবিতে আমরা থাকবোনা কিন্ত এ সফটওয়্যার ব্যবহার করে কোটি কোটি মানুষ সহজে ইসলাম সম্পর্কে তথ্য জানতে পারবে গবেষনার কাজে ব্যবহার করতে পারবে। অমুসলিমগন জানতে পারবেন ইসলাম ও রাসুল (সাঃ) জীবনী সম্পর্কে। রাসুল (সাঃ)-কে যারা ব্যঙ্গ করছে বেশিরভাগই ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞতার কারনেই করছে। এ সফটওয়্যার তাদের মনের ইসলাম সম্পর্কে অশিক্ষার অন্ধকার দুরীভূত করবে বলে আশা রাখি।কতো অযথা বাজে কাজ করে বা কম্পিউটার গেম খেলে আমরা সময় নষ্ট করি, না হয় এখানে কয়েক ঘন্টা সময় নষ্ট করলেন, আমরা চাই আপনারও এতে অবদান থাকুক অন্তত ১০০ হাদিস টাইপ করে এ ঐতিহাসিক কর্মে অংশীদার হয়ে যান।
 


www.facebook.com/pages/Al-Quran-Modern-Science/140069416050931
http://muslim.zohosites.com/
http://www.quranic-science.blogspot.com/

২টি মন্তব্য:

  1. এই মন্তব্যটি লেখক দ্বারা সরানো হয়েছে।

    উত্তরমুছুন
  2. আসমানসমূহ ও জমিনকে আলাদা করা কিভাবে বিগ ব্যাং হয়???
    বিগ ব্যাং এর সময় তো পৃথিবীর জন্মই হয়নি! বিগ ব্যাং হয়েছে ১৩.৮ বিলিয়ন বছর আগে, আর পৃথিবীর বয়স মাত্র ৪.৫ বিলিয়ন বছর। অর্থাৎ, বিগ ব্যাং এর ৯.৩ বিলিয়ন বছর পরে এই পৃথিবী সৃষ্টি হয়েছে! উইকিপিডিয়ার বিগ ব্যাং পেজটা ঘুরে আসুন, ওখানে বিস্তারিত সব পাবেনই, সেই সাথে একটা টাইমলাইন দেয়া আছে বিগ ব্যাং সম্পর্কিত, বিগ ব্যাং কবে হলো, বিগ ব্যাং এর কত পরে পৃথিবীর সৃষ্টি হলো, এরপর ধাপে ধাপে কিভাবে আধুনিক যুগে আমরা পৌছলাম তার টাইমলাইন।

    বিগ ব্যাং এর ৯.৩ বিলিয়ন বছর পরে এই পৃথিবী সৃষ্টি হয়েছে
    তো, সূরা আম্বিয়া ৩০ নং আয়াতে কিভাবে বিগ ব্যাং খুজে পেলেন মুমিন ভাইয়েরা? বিজ্ঞান বলে বিগ ব্যাং এর সময় পৃথিবী ছিলো না, কিন্তু আল্লাহ পৃথিবী আর আকাশ আলাদা করলেন!

    উত্তরমুছুন

যাযকাল্লাহ....